নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবলীগ নেতা আক্তার মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতার হামলায় আহত হয়েছেন ২ জন।
আহতরা হলেন আমির আলির ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) আব্দুন নবীর ছেলে রহিম উল্লাহ (৩২)।
শুক্রবার (২৮ মার্চ ) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে শামলাপুর মহিলা মার্কেটের সামনে।
স্থানীয়রা বলছেন আব্দুল আজিজের পুত্র আক্তার মিয়া (৩৮) ও ১ নং ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি নুরুল আবছারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বাগবিতণ্ডা হয়, এর মধ্যে মৎস্যজীবী দলের ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম সমঝোতার চেষ্টা করলে, তাদের উপর পূর্বের পরিকল্পিত হামলার প্রস্তুতি নেন যুবলীগ নেতা আক্তার মিয়া, এমনকি তার পূর্বের ভাড়াটিয়া কিশোর গ্যাং ধারালো অস্ত্র’সহ প্রস্তুত থাকেন, যেখানে পরে এর মধ্যে পরে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে গেলে যুবলীগ নেতা আক্তার মিয়া গ্যাং অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা করলে পুলিশ তা দু’পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে ঘটনা চলাকালীন সময়ে যুবলীগ নেতা আক্তার কামালের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং ধারালো অস্ত্র দা ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় নোমান নামে এক ব্যবসায়ী দু’পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টাকলে যুবলীগ নেতা আক্তার মিয়া গ্যাং এর পালিত কিশোর গ্যাং এর ছুরি ছুটাছুটিতে হাত কেটে চরম আহত হয়।
এই নিয়ে বিএনপি পরিবারের আহতরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা চেয়ে ৫ জনকে আসামি করে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজের পুত্র: আক্তার মিয়া (৩৮) হানিফের পুত্র: যুবলীগ নেতা শামসুল আলম (৩৫) মৃত শফি উল্লাহ মিস্ত্রীর পুত্র: কয়েক মামলার পলাতক আসামি আরমান (২৮) সুলতান আহমদের ছেলে যুবলীগ নেতা জয়নাল (৩০) আব্দুল আজিজের পুত্র: যুবলীগ নেতা নুরুল হক(৪২) এছাড়াও কিশোর গ্যাং এর বেশ কয়েকজন অপরিচিত অস্ত্রধারীদের চেনা যায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শুভন শাহ জানান, বিএনপি নেতা নুরুল আবছার বাদি হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, পরবর্তী তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষে শামলাপুর বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ধাওয়া করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনেন।