নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিম পাড়া এলাকায় ৬ এপ্রিল জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের পাল্টা-পাল্টি হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
নিহতরা হলেন, স্থানীয় মসজিদের খতিব ও ওই ওয়ার্ডের জামায়াত আমির নাজির হোসেনের ছেলে মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রতিপক্ষের মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে আব্দুল মান্নান ও তার বোন শাহিনা বেগম। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাইবোন।
উক্ত ঘটনায় ৯ এপ্রিল রওশন আরা,
রাত ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ঐ ঘটনায় আব্দুল আল মামুনের পরিবারের পক্ষ উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় ১ নং আসামী করা হয় নুর হোসেনের ছেলে সরোয়ারকে অথচ ঘটনার সময় সেই কোনভাবে উপস্থিত ছিলো না বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মোহাম্মদ হোছন এর বসতি ভিটা থেকে ৭ শতক জায়গা সরওয়ারের পিতা নুর হোসেন কে বিক্রির উদ্দেশ্যে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন যার নম্বর ৬৮৭০৪৯০ আবেদনের তারিখ ১৪/৫/২০২৪ ইংরেজি তারিখ এবং নামজারি মামলা নং ২,০৩০ IXI ২০২৩-২৪ অনলাইন ডিসিআর নং ২৪২২৯৪০১১০২৯৩০ এর অত্র আবেদন কারী কে জায়গা বুঝিয়ে না দিলে দীর্ঘ সময় বাঁধা প্রধান করেন নাজির হোসেন পুত্ররা।
জায়গা ক্রয় করার দায়ে মামলার প্রধান আসামি হয় কেমনে! প্রশাসনের সঠিক তদন্ত করে আসল আসামীদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবী জানিয়েছেন সরোয়ারের স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুপালং স্হানীয় বাসিন্দাদের দাবী, নিহত আব্দুল মান্নানের পরিবারের সাথে নাজির হোসেনের পুত্রদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে মনমালিন্য না থাকা সত্বেও মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগে সরোয়ারকে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করেন। এই মামলায় কোনভাবে সরওয়ার জড়িত নই!
এই বিষয়ে রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষ তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
এই বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট তদন্ত পূর্বক আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে জোর দাবি জানিয়েছেন স্হানীয় সচেতন মহল।